মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) (জন্ম ৫ জানুয়ারি, ১৯৫৫) পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সভানেত্রী। বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, ভূমি ও ভূমিসংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্বতাঞ্চল বিষয়ক, কৃষি, বিদ্যুৎ, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার, সংখ্যালঘু কল্যাণ ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগেরও ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী।
তিনি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বাগ্মী রাজনীতিবিদ। তাকে প্রায়শই দিদি বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এছাড়াও তাকে অগ্নিকন্যাও বলা হয়। ২০১১ সালে তার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল। এই সরকার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সময় গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার ছিল।
ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে তিনি দুই বার রেল, এক বার কয়লা মন্ত্রকের এবং এক বার মানবসম্পদ উন্নয়ন, যুব, ক্রীড়া, নারী ও শিশুকল্যাণ বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন।তিনি পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের জমি বলপূর্বক অধিগ্রহণ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিলেন।

শিক্ষাঃ-

যোগমায়া দেবী কলেজ ভারতের কলকাতার অন্যতম প্রাচীন ও শীর্ষস্থানীয় মহিলা কলেজ। এই কলেজটি আশুতোষ কলেজ (দিবা কলেজ) এবং শ্যামাপ্রসাদ কলেজ (নৈশ কলেজ) এর সাথে একই ভবন ভাগাভাগি করে। এই কলেজটির নাম স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে নামকরণ করা হয়।
এটি জাতীয় মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন পরিষদ (ন্যাক) অনুমোদিত গ্রেড “বি” কলেজ। এটি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করে এবং এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কলেজ।এই কলেজ ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

কর্মজীবনঃ-

আগে ছিল ৬০ বছর। বাড়িয়ে তা করা হয়েছিল ৬২। এবার একলাফে অধ্যাপকদের কর্মজীবন ৩ বছর বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন থেকে রাজ্যের সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের অবসর নেওয়ার বয়স হল ৬৫। শুধু অধ্যাপকরাই নন, কর্মজীবনের মেয়াদ বাড়ছে উপাচার্যদেরও। আগে তাঁদের অবসর নিতে হত ৬৫ বছর বয়সে, এবার থেকে তা বেড়ে হচ্ছ ৭০ বছর

২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয় এবং সরকার গঠন

২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন ঘটিয়ে ২২৭টি আসনে (এককভাবে ১৮৪টি আসনে) জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে শপথ গ্রহণ করেন।

১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তে, বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সহ অন্যান্য ইস্যুতে সংঘাত ঘটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট বা ইউপিএ-এর থেকে সমর্থন তুলে নেন।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্য

২০১৪ সালে ভারতের লোকসভার নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে লড়ে পশ্চিমবঙ্গের ৩৪টি লোকসভা আসনে জয়লাভ করে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়

২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে ২১১টি আসনে জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে পুনরায় শপথ পাঠ করেন।

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে xxx টি আসনে জয়লাভ করে (মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে) সরকার গঠন করে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীরূপে পুনরায় শপথ পাঠ করেন।