লাকি আলী (জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮), জন্ম নাম হিসেবে পরিচিত মাকসুদ আলী, হলেন একজন ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার এবং অভিনেতা। লাকি তার গভীর বা উচ্চ ভাবপূর্ন ধাচের গান কিন্তু সাবলীলভাবে গান গাওয়া ও সুমধুর কন্ঠের জন্য সুপরিচিত।
লাকি আলীর ব্যক্তিগত অ্যালবাম
লাকি একজন পপ গায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন যেটি গভীর বা উচ্চ ভাবপূর্ন অ্যালবাম সুনাো এর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করেন। লাকি আলী এই অ্যালবামটি ভারতীয় সঙ্গীত জগতে শীর্ষ অনেক পুরস্কার জিতে আনেন । যেমন- শ্রেষ্ঠ পপ পুরুষ গায়ক ১৯৯৬ এর স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে এবং চ্যানেল ভি ১৯৯৭ সালের দর্শকর চয়েস অ্যাওয়ার্ড পান। । সুনো এ্যালবাম থেকে তার গান ও সানাম আলীর কর্মজীবন সুদুরপ্রসারী এবং শ্রেষ্ঠ ভারতীয় পপ শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।তার পরবর্তী এ্যালবাম সিফার, সুনো এ্যালবামের মত পুরোপুরি সাফল্য অর্জন করেনি, লাকি আলী তার সঙ্গীত জীবনে গান এবং কন্ঠের উল্লেখযোগ্য অংশ ছিল।
লাকি আলী তার স্বতন্ত্র সঙ্গীত শৈলীর জন্য বেশি সুপরিচিত এবং সাথে তার বলবান কন্ঠও। তার তৃতীয় অ্যালবাম এবং চতুর্থ অ্যালবাম ছিল একেএস ও কাভি এছা লাগতা হে, উভয় এ্যালবাম যুক্তিসঙ্গতভাবে সফল ছিল। পাঁচ বছরে দীর্ঘ বিরতী পর, তিনি ২০০৯ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিনে, নতুন অ্যালবাম জুয়ি প্রকাশ করেন।
লাকি আলীর নেপথ্য গান গাওয়া কর্মজীবন
লাকি আলী ১৯৭৮ সালের এক বাপ সে বেটে চলচ্চিত্র থেকে গানের মাধ্যমে তার প্লেব্যাক গান গাওয়া কর্মজীবন শুরু করেন। গানটির শিরোনাম ছিল “ওয়াকিং এন্ড আই এ্যাম ওয়াকিং এ্যালোনা”। এটি প্রচুর হিট এবং জনপ্রিয় হয় ।
লাকি আলীর অভিনয় জীবন
ভারতের এক মহান অভিনেত্রী মীনা কুমারীর ভাগ্নে এবং তার উপরে মেহমুদ এর পুত্র হওয়া লাকি আলীর অভিনেতা হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ করতে প্রয়োজনীয় সুযোগের অভাব তাকে বুজতে হয়নি। তিনি ১৯৭০ সালে এবং ১৯৮০ সালের মধ্যে কয়েক ছায়াছবিতে অভিনয় করেন; যেমন ইয়ে হে জিন্দেগী (১৯৭৭) হামারে তুমহারে (১৯৭৯) এবং শ্যাম বেনেগাল’ ট্রিকাল (১৯৮৫)। তিনি শ্যাম বেনেগাল এর নির্দেশিত টেলিভিশন ধারাবাহিক ভারত ইক খোজতে অভিনয় করেন। অভিনয় থেকে একটি দীর্ঘ বিরতির পর তিনি সঞ্জয় গুপ্তা এর কান্তে (২০০২) সালে অভিনয় করেন, যেখান অভিনয় করেন প্রধান তারকাদের মধ্যে অমিতাভ বচ্চন, সঞ্জয় দত্ত, কুমার গৌরভ এবং সুনীল শেঠী। লাকি এছাড়াও টিভি সিরিয়াল জারা হাটকে (২০০২) সালে তিনি একজন অভিনেতা হিসেবে প্রশংসা অর্জন করেন।
লাকি আলী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
নাম ((Name)) | লাকী আলী |
ইংলিশ নাম (English Name) | laki ali |
ছদ্মনাম (Nick Name) | মাকসুদ আলী |
জন্ম (Birth) | ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮ |
জন্ম স্থান (Birth Place) | বর্ধমান জেলার শক্তিগড়ের কাছে বামুনপাড়া গ্রামে |
বাবার নাম (Father Name) | মেহমুদ আলীর |
মায়ের নাম (Mother Name) | |
ভাষা | হিন্দি |
পড়াশোনা (Educatriuon) | বম্বে স্কটিশ স্কুল মুম্বাইয়ে মানেকজি কুপার (কিন্ডারগার্টেন) (জুহু) পড়ালেখা করেন । |
কর্মজীবন (Occupations) | লাকি আলী ১৯৭৮ সালের এক বাপ সে বেটে চলচ্চিত্র থেকে গানের মাধ্যমে তার প্লেব্যাক গান গাওয়া কর্মজীবন শুরু করেন। গানটির শিরোনাম ছিল “ওয়াকিং এন্ড আই এ্যাম ওয়াকিং এ্যালোনা”। এবং অভিনয় করেছেন । |
স্ত্রী / স্বামী (Wife/ Husband) | মেঘান জেনি, দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম হল ইনায়া, এবং তৃতীয় স্ত্রী ব্রিটিশ মডেল । |
সন্তান (Childrens) | প্রথম স্ত্রী থেকে দুটি সন্তান রয়েছে- তাউজ এবং তাসমিয়া এবং দ্বিতীয় স্ত্রী থেকে সারা ও রাইয়ান নামে দুটি সন্তান রয়েছে । |
ধর্ম (Religion) | মুসলিম |
জাতীয়তা (Nationality) | ভারতীয় |
মৃত্যু (Death) | ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি () | লঘুগুরু, বিচিন্তা, ভারতের খনিজ, কুটির শিল্প প্রভৃতি প্রবন্ধগ্রন্থ, কালিদাসের মেঘদূত, বাল্মীকি রামায়ণ, ব্যাসের মহাভারত, গীতা প্রভৃতির |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার (Prize) | ১৯৫৫-তে রবীন্দ্র পুরষ্কার পান।
১৯৫৬-তে তিনি সাহিত্যে অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৩৫-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানান সংস্কার সমিতি ও ১৯৪৮-এ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিভাষা সংস্কারের সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫৭-৫৮-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৫৬-তে ভারত সরকার রাজশেখরকে পদ্মভূষণ পুরষ্কারে সম্মানিত করেন।
|
জীবন কাল (Age) |
৮০ |