শখের ফটোগ্রাফী: ক্যামেরা মোডগুলো আপনাকে দেখাবে ঠিক কি কি ভাবে আপনি ক্যামেরায় ছবি তুলতে পারেন। ছবি তোলার ক্ষেত্রে ফোকাস একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পারফেক্ট ফোকাস করতে পারলে- ছবি সুন্দর হয়। ঝামেলা যেন না হয় এজন্য আজকাল অনেকেই অটো-ফোকাস ব্যবহার করেন। তবে অল্প আলোতে (বিশেষ করে রাতে অটো-ফোকাস না ব্যবহার করাই ভালো।) ক্যামেরা আপনার পছন্দ অপছন্দ বুঝবে না। তাই আপনিই ঠিক করুন কোনটা ফোকাস করবেন। নিয়মিত চর্চা থাকলে যে কেউ ভালো ছবি তুলতে পারবে। ডিজিটাল ক্যামেরা বা মোবাইল এর ক্যামেরায় অটো-ফোকাস থাকায়, কিভাবে ফোকাস করবো, কোথায় ফোকাস করবো- এই নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারন নেই।
সামনে ও পেছনে অবস্থিত দুটি সাবজেক্টের ছবি তুললে উভয়কেই ফোকাস করা অসম্ভব। একটি ফোকাস হবে, আরেকটি আউট অফ ফোকাস। দুটি সাবজেক্টকে একই সাথে মোটামুটি ফোকাস করতে দুজনের মধ্যকার দূরত্বের মাঝামাঝি ফোকাস করতে হবে।
ক্যামেরার এই ‘ফোকাস’ এর ব্যবহার জীবনের ক্ষেত্রেও বহুল ব্যবহৃত। জীবনের লক্ষ্য কি হবে, কি করতে চাই, কি হতে চাই – ইত্যাদি মিলিয়ে জীবনের ফোকাস। একটি প্রেম করা, কিংবা একটি সরকারী চাকরী পাওয়া জীবনের ফোকাস হতে পারে না। তেমনি একটি প্রেম করা, একটি সরকারী চাকরি পাওয়া, একটি বাড়ি করা, একটি কোম্পানির ডিরেক্টর হওয়া – ইত্যাদিও ফোকাস হতে পারে না। এর সাথে বরং অ্যামেচার ফিল্মমেকারদের ডিএসএলআর ক্যামেরায় ইচ্ছেমত ফোকাস-ব্লার করার সাথে মিলে যায়। একটু ভেবে নেয়া উচিত – সেট ইয়োর ফোকাস, দেন রান ইয়োর ফিল্ম। আপনি ক্যামেরার কথা শুনবেন না, ক্যামেরা যেন আপনার কথা মতো চলে, এজন্য নিজের মনের মত করে ক্যামেরার সব অপশন সেটিং করে নেন।
ফটোগ্রাফী একটি মহান পেশা। যদিও বেশীর ভাগ মানুষ একজন ফোটোগ্রাফারের প্রাপ্য সম্মান দিতে কুন্ঠিত বোধ করেন। এত সংকুচিত হবে কেন মানুষের মন? সাধারন মানূষের ধারনা নেই- একজন ফোটোগ্রাফারকে একটা ছবি তোলার সময় কত দিকে লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন- এক্সপোজার, কম্পোজিশন, শাটার স্পীড, আইএসও, অ্যাপারচার, ফোকাস ইত্যাদি। একজন ফটোগ্রাফার তার ক্যামেরা ব্যবহার করে যথেষ্ট পরিশ্রম করেই ছবি তোলেন। তার ন্যায্য মূল্য তাকে দেয়া উচিৎ, তিনি সম্পর্কে যিনিই হোন না কেন। source: Internet