সাকিব আল হাসান বিখ্যাত বাংলাদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড়ের জীবনী | Shakib Al Hasan

সাকিব আল হাসান (জন্ম: ২৪ মার্চ ১৯৮৭) ইনি একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। তিনি বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার  এবং বামহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান । ২০১৯ সালে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট ও টি২০ আন্তর্জাতিক সংস্করণে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।বাংলাদেশের হয়ে খেলে সর্বশ্রেষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত সাকিবকে বিশ্বের অন্যতম সেরা অল-রাউন্ডার বলে ঘোষনা করা হয়।

ব্যক্তিগত তথ্যঃ

পূর্ণ নাম সাকিব আল হাসান
জন্ম ২৪ মার্চ ১৯৮৭ (বয়স ৩৪)
মাগুরাখুলনাবাংলাদেশ
ডাকনাম সাকিব,ময়না,ফয়সাল
উচ্চতা ৫ ফুট ০৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরন বামহাতি
বোলিংয়ের ধরন স্লো বামহাতি অর্থোডক্স
ভূমিকা অলরাউন্ডার

 

সাকিব আল হাসান ১৯৮৭ সালের ২৩শে মার্চ খুলনার মাগুরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাশরুর রেজা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের কাজ করতেন এবং তার  মাতা শিরিন শারমিন একজন গৃহিণী। ছোটো থেকেই  সাকিব খেলাপাগল ছিলেন। তার বাবা খুলনা বিভাগের হয়ে এবং এক কাজিন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলতেন।সাকিবের ক্রিকেট খেলার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ এবং গ্রাম-গ্রামান্তরে তাকে খেলার জন্য ভাড়া করে নিয়ে যাওয়া হত।এরকমই এক ম্যাচে সাকিব এক আম্পায়ারকে অভিভূত করেছিলেন, যিনি পরবর্তীতে সাকিবকে ইসলামপুর পাড়া ক্লাব এর সাথে অনুশীলন করার সুযোগ করে দেন। সাকিব তার স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও দ্রুতগতির বোলিং ধরে রাখেন, সেই সাথে প্রথমবারের মত স্পিন বোলিংএ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ও সফল হন। তিনি ইসলামপুর দলে সঙ্গে খেলার সুযোগ পান এবং প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। সত্যিকারের ক্রিকেট বল দিয়ে এটাই ছিল তার প্রথম করা বল, এর আগ পর্যন্ত তিনি টেপড টেনিস বল দিয়েই খেলতেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছয়মাস প্রশিক্ষণ নেন এবং ২০০৪ সালে ১৭ বছর বয়সে জাতীয় লীগে খেলার জন্য খুলনা দলে নাম জমা দেন।

মাত্র পনের বছর বয়সেই সাকিব অনূর্ধ্ব​-১৯ দলে খেলার সুযোগ পান। ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব​-১৯ ত্রি-দেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে (ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা) মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে ও তিনটি উইকেট নিয়ে দলকে জেতাতে সাহায্য করেন। ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সাকিব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ৩৫.১৮ গড়ে তিনি মোট ৫৬৩ রান সংগ্রহ করেন এবং ২০.১৮ গড়ে নেন মোট ২২টি উইকেট।