সাক্ষী মালিক জীবনী

সাক্ষী মালিকঃ-হলেন একজন ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে তিনি মেয়েদের কুস্তির ৫৮ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন, তিনি প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে অলিম্পিকের কুস্তিতে পদক জয় করেন।মালির এর আগে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে রৌপ্য এবং দোহায় ২০১৫ এশিয়ান রেসলিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেন।আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একজন পেশাদার কুস্তিগির হিসেবে মালিকের প্রথম সাফল্য এসেছিল জুনিয়র বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১০ সালে যেখানে তিনি ৫৮ কেজি ফ্রিস্টাইল ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন। ২০১৪ সালে ডেভ শুলজ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে, তিনি ৬০ কেজি ওজন শ্রেণীতে স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন।অলিম্পিক্স পদক জিতে ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি একটা এলিট ক্লাবেও ঢুকে পড়লেন সাক্ষী। তাঁর আগে মাত্র তিন জন ভারতীয় মহিলা খেলোয়াড়ের কাছ রয়েছে অলিম্পিক্সের পদক।

সাক্ষী মালিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ-সাক্ষী মালিক(জন্ম: ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯২),এবং তার উচ্চতা ১৬২ সেমি (৫ ফু ৪ ইঞ্চি)।সাক্ষী কমনওয়েলথ গেমস, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যাম্পেইনে তার প্রথম ম্যাচ কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যামেরুনের এডিগ নাগোনো আয়িই সাথে লড়েন এবং ৪-০ ব্যবধানে সহজেই পরাজিত করেন। সেমিফাইনালে, সাক্ষী কানাডার ব্রাক্সটন রেই স্টোন এর মুখোমুখি হন, যাদের লড়াই ভালই জমে উঠে কিন্তু সাক্ষী শিগ্রই ৩-১ ব্যবধানে জয়ী হয়ে কমনওয়েলথ গেমসে পদক নিশ্চিত করেন। ফাইনালে তার নাইজেরিয়ার আমিনাত আদিনিয়ি সাথে মোকাবিলা হয়, যাতে সাক্ষী ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত হন এবং রৌপ্য পদক জয়ের সৌভাগ্য লাভ করেন।২০১৩ জোহানেসবার্গে আয়োজিত কমনওয়েলথ চ্যাম্পিয়নশিপ, ৬৩ কেজির কুস্তি ইভেন্টে প্রথম বিশ্বখ্যাতি, ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন সাক্ষী মালিক। এরপর ২০১৪, কমনওয়েলথ গেমস, গ্লাসগো, ৫৮ কেজির ফ্রি স্টাইল কুস্তি ইভেন্টে।

সাক্ষী মালিক-মে ২০১৬ তে অলিম্পিকের বিশ্ব অলিম্পিক বাছাইপর্বে ৫৮কেজির ওজন শ্রেণীতে সেমিফাইনালে চীনের ঝাং লানকে পরাজিত করে ২০১৬ রিও অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করেন, তিনি ৩২ দফা কুস্তিতে সুইডেনের জোহান্না মাট্টসনের বিরুদ্ধে এবং মোল্দাভিয়ার, মারিয়ানা ছেরদিভারার বিরুদ্ধে ১৬ দফার কুস্তিতে জেতেন।কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়ার সম্ভাব্য ফাইনালিস্ট ভ্যালেরিয়া কোবলোভার কাছে পরাজিত হবার পর, তিনি রিপিচেজ দফায় উন্নীত হন, যেখানে তিনি তার প্রথম দফার কুস্তিতে মঙ্গোলিয়ার পুরেভদোরজিন অর্খোনকে পরাজিত করেন। তিনি এক পর্যায়ে ০-৫ এ পিছিয়ে থেকেও রিপিচেজ দফায়, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কিরগিজস্তানের আইসুলু টাইনিবেকোভাকে উপর ৮-৫ এ পরাজিত করে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন এবং ভারতের মহিলা কুস্তিগীরের মধ্যে প্রথম অলিম্পিক পদক লাভের সম্মান অর্জন করেন।