বাল গঙ্গাধর তিলক (Bal Gangadhar Tilak) (২৩ জুলাই ১৮৫৬ – ১ আগস্ট ১৯২০) একজন ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, পণ্ডিত সমাজ সংস্কারক, আইনজীবী এবং স্বাধীনতা কর্মী ছিলেন। বাল গঙ্গাধর তিলক ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম নেতা ছিলেন। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাকে ভারতীয় অস্থিরতার পিতা বলতেন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
নাম ((Name)) | বাল গঙ্গাধর তিলক |
ইংলিশ নাম (English Name) | Bal Gangadhar Tilak |
ছদ্মনাম (Nick Name) | কেশভ গঙ্গাধার তিলক, লোকমান্য তিলক |
জন্ম (Birth) | ২৩ জুলাই ১৮৫৬ |
জন্ম স্থান (Birth Place) | রত্নগিরি, মহারাষ্ট্র, ভারত |
বাবার নাম (Father Name) | গঙ্গাধর রামচন্দ্র তিলক (Gangadhar Ramchandra Tilak) |
মায়ের নাম (Mother Name) | পার্বতী বাই গঙ্গাধর (Paravti Bai Gangadhar) |
ভাষা | মারাঠি |
পড়াশোনা (Educatriuon) | আইন বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করেন । |
কর্মজীবন (Occupations) | ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী |
স্ত্রী / স্বামী (Wife/ Husband) | Satyabhamabai Tilak |
সন্তান (Childrens) | |
ধর্ম (Religion) | হিন্দু ধর্ম |
জাতীয়তা (Nationality) | ভারতীয় |
মৃত্যু (Death) | ১ আগস্ট ১৯২০ মুম্বই,ভারত |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি () | |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার (Prize) | |
জীবন কাল (Age) | ৬৪ বছর |
বাল গঙ্গাধর তিলক এর জন্ম, শৈশবকাল এবং শিক্ষাজীবনঃ
১৮৫৬ সালের ২৩ জুলাই মহারাষ্ট্রের, রত্নগিরি জেলার চিখরগাঁও গ্রামে ব্রাহ্মন পরিবারে ভারতের মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম মহান নায়ক সুবিখ্যাত রাজনৈতিক ও পন্ডিত বালগঙ্গাধর তিলকের জন্ম হয়। তার পিতা গঙ্গাধর রামচন্দ্র তিলক ছিলেন একজন আদর্শবাদী শিক্ষক । শৈশবকাল থেকেই তিনি ভারতের ব্রিটিশ শাসকদের সহ্য করতে পারতেন না । বাল গঙ্গাধর তিলক খুব ভালাে ছাত্র ছিলেন । পড়াশুনার প্রতি তার খুব আগ্রহ ছিলাে । ১৮৭৯ সালে তিনি আইন বিষয়ে ডিগ্রী লাভ করেন ।
বাল গঙ্গাধর তিলক এর কর্মজীবনঃ
১৮৮০ সালে জাতীয়তাবােধ ও স্বাধীনতার চেতনায় দেশবাসীকে উজ্জীবিত উদ্বুদ্ধ করার জন্য মারাঠী ভাষায় “কেশরী’ এবং ইংরেজীতে “Marhatta” নামে দুটি পত্রিকা প্রকাশ করার সংকল্প নিলেন এবং তাঁরা ১৮৮০র অক্টোবরে ঘোষণা করলেন ।“কেশরী”তে ভারতের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বরাজনীতির বিশেষ সংবাদও পরিবেশনের ব্যবস্থা তাঁরা করেছিলেন । তৎকালীন অন্য পত্রিকাগুলি নিরপেক্ষভাবে সত্য সংবাদ নানা কারণে পরিবেশন করতে পারতো না বলে ১৮৮১র ৪ঠা জানুয়ারী শীর্ষে অর্থবহ সংস্কৃত শ্লোকে ভূষিত করে এবং তিলক মারাঠী ভাষায় “কেশরী” পত্রিকা প্রথমে প্রকাশ করেন । ভারতে গণসংযোগের এবং গণচেতনা জাগরণের প্রথম মাসিক পত্রিকা রূপে “কেশরী”র উদ্দেশ্য সম্বন্ধে ঘোষিত হল ।
সাম্রাজ্যবাদী ভূমিকার জন্য আপােসহীন নেতা বলে গঙ্গাধর তিলককে অনেকবার জেল খাটতে হয়েছে । ১৯০৮ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরােধিতা করার জন্য বাল গঙ্গাধর তিলককে ছ’বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয় এবং বার্মার মান্দালয় জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এই কারাবাসের সময় বাল গঙ্গাধর তিলক (Bal Gangadhar Tilak) জেলে বসে রচনা করেন শ্রীমদ্ভগবত গীতার বিখ্যাত ভাষ্য “ গীতারহস্য ” ।
বাল গঙ্গাধর তিলক এর লেখা বইঃ
বাল গঙ্গাধর তিলক (Bal Gangadhar Tilak) বেদের উপর ইংরেজি ভাষায় একটা বইও লিখেছিলেন , যা বাল গঙ্গাধর তিলককে (Bal Gangadhar Tilak) প্রথমে ইংল্যান্ডে এবং পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট পরিচিতি দান করে ।
বাল গঙ্গাধর তিলক এর রাজনীতি এবং আন্দোলনঃ
বাল গঙ্গাধর তিলক আজীবন জাতীয়তাবাদের একজন বলিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন । জামানীর একজন সুপরিচিত পন্ডিত ম্যাক্স মুলার তার জ্ঞানের গভীরতার প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন। গঙ্গাধর তিলককে ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতার জনক ’ বলা হয়ে থাকে ।১৯০৮ সালে রাজদ্রোহিতার অভিযােগে বাল গঙ্গাধর তিলককে বিচারের সম্মুখীন করা হয় । বিচারালয়ে বাল গঙ্গাধর তিলক আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য একটা ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন — যা একটানা চারদিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিলাে ।
১৯১৬ সালে বাল গঙ্গাধর তিলক এ্যানি বেসান্তের সঙ্গে হােম রুল লীগ আন্দোলন শুরু করেন এবং ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তা প্রত্যাহার করে নেন । ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুবিধার্থে কংগ্রেসকে যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন শক্তিশালী একটা সংগঠন হিসাবে গড়ে উঠতে ।
বাল গঙ্গাধর তিলক এর মৃত্যুঃ
১৯২০ সালের ১ লা আগস্ট ৬৪ বছর বয়সে সুবিখ্যাত ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা বাল গঙ্গাধর তিলক মৃত্যুবরণ করেন ।
2 thoughts on “বাল গঙ্গাধর তিলক এর জীবনী । Bal Gangadhar Tilak”
Comments are closed.