সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ (Syed Mustafa Siraj) (১৪ অক্টোবর ১৯৩০-৪ সেপ্টেম্বর ২০১২) ছিলেন ভারতীয় বাংলা সাহিত্যের একজন সুবিখ্যাত লেখক।সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ সায়েদ মুস্তাফা সিরাজ ১৫০ টি উপন্যাস এবং ৩০০ টি ছোটগল্প লিখেছেন ।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
নাম ((Name)) | সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ |
ইংলিশ নাম (English Name) | Syed Mustafa Siraj |
ছদ্মনাম (Nick Name) | Iblish |
জন্ম (Birth) | ১৪ অক্টোবর ১৯৩০ |
জন্ম স্থান (Birth Place) | মুর্শিদাবাদ জেলার, খোশবানপুর গ্রাম |
বাবার নাম (Father Name) | সৈয়দ আবদুর রহমান |
মায়ের নাম (Mother Name) | আনোয়ারা বেগম |
ভাষা | বাংলা |
পড়াশোনা (Educatriuon) | গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়, বহরমপুর কলেজ । |
কর্মজীবন (Occupations) | সাংবাদিক (আনন্দবাজার পত্রিকায়) |
স্ত্রী / স্বামী (Wife/ Husband) | হাসনে আরা সিরাজ |
সন্তান (Childrens) | |
ধর্ম (Religion) | মুসলিম |
জাতীয়তা (Nationality) | ভারতীয় |
মৃত্যু (Death) | ৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি () | |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার (Prize) | আনন্দ পুরস্কার , সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার , বঙ্কিম পুরস্কার, ভুয়ালকা পুরস্কার, নরসিংহদাস পুরস্কার |
জীবন কাল (Age) | ৮১ বছর |
সায়েদ মুস্তাফা সিরাজের জন্ম ও প্রাথমিক জীবনঃ
১৯৩০ সালে ১৪ অক্টোবর ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্দির অন্তর্গত মুর্শিদাবাদ জেলার খোশবানপুর গ্রামে সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর বাবার নাম সৈয়দ আবদুর রহমান ফেরদৌসী এবং মায়ের নাম দিল আনোয়ারা বেগম। সৈয়দ আবদুর রহমান ছিলেন একজন জ্ঞানী মানুষ।গান্ধীতির ডাকে তিনি যোগ দিয়েছিলেন হাসনোহারী এবং তিনি কবিতা লিখতেন। তাঁর রচিত একটি কাব্যগ্রদের নাম ‘লাল শিমুলের দিন’।সিরাজ এমন একটি বাড়িতে বেড়ে উঠেছিলেন যেখানে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ছিল। বাড়ির লোকেরা বই পড়তে ভালোবাসতেন এবং আরবি, ফার্সি এবং সাতটি ভাষা জানতেন। মাত্র নয় বছর বয়সে সিরাজ তার মাকে হারিয়েছিলেন। সিরাজের পড়াশোনা শুরু হয় গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয় থেকে। এখানকার পড়াশোনা শেষ করে তিনি ভর্তি হন বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে। ১৯৫০ সালে তিনি বি.এ পাশ করেন।
সায়েদ মুস্তাফা সিরাজের কর্মজীবনঃ
সিরাজ বামপন্থী রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। পরে তিনি ‘অলকাপ’ নামে একটি লোকনাট্য গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখানে তিনি বাঁশি বাজাতেন এবং নৃত্য ও অভিনয় শেখাতেন। এই গোষ্ঠীর সঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান সহ কলকাতাতেও অনেক অনুষ্ঠান করেছিলেন।১৯৫৬ সালে তিনি ‘অবকাশ’ ত্যাগ করেন এবং কবিতা ও মোটায় লিখতে শুরু করেন। তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘ইবলিশ’। পরে তিনি কলকাতায় আসেন এবং বৃহত্তর লেখার জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৬২ সালে ‘দেশ’ পত্রিকায় সর্ব প্রথম তাঁর রচিত ছোটগল্প ‘ভালোবাসা ও ডাউন ট্রেন’ প্রকাশিত হয়। এই সময়েই তিনি যুক্ত হন ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’র সঙ্গে। দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি এই পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেছিলেন। তারপর এক এক করে বেরোতে থাকে উঠি, পিপি ও ঘাটবাবু’, ‘হিজল বিলের রাখালেরা’, ‘তরঙ্গিণীর চোখ’, ‘উড়ো পাখির ছায়া’, ‘মানুষের জন্ম’, ‘রণভূমি’, ‘রক্তের প্রত্যাশা’, ‘মাটি’ প্রভৃতি গল্প। এই গল্পগুলি তাঁকে জনপ্রিয় করে তোলে। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয় সিরাজের প্রথম উপন্যাস ‘নীল ঘরের নটি”। তাঁর রচিত বিখ্যাত ছোটোগল্প ‘রানির ঘাটের বৃত্তান্ত’ নিয়ে তৈরি হয়েছে বাংলা সিনেমা ‘ফালতু” । ২০০৭ সালে এই ছবিটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল।
বাংলা সাহিত্যে অতুল কৃতিত্বের জন্য মুস্তাফা সিরাজ অনেক সন্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন ।
সায়েদ মুস্তাফা সিরাজের মৃত্যুঃ
৪ই সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে কলকাতার বাসভূমিতে, বার্ধক্য জনিত শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয় | মৃত্যুর বয়স ছিল ৮১ বছর ।